কিছু আশ্বর্যজন ঘটনা যা বিজ্ঞানিরা এখনো সমাধান করতে পারেননি (Part-1)
Posted by Unknown on Monday, June 29, 2015 with No comments
২৫) Sun´s corona
আমরা জানি সুর্য হচ্ছে অত্যান্ত উচ্চ তাপমাত্রার একটা গ্যাসের বল। করনা হচ্ছে এই গ্যাসের বলের চারপাশে থাকা এক ধরনের রিংএর মতন ছিটকে যাওয়া পদার্থ। বিজ্ঞানিরা এর নাম দিয়েছেন করনা। এটি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা গেছে কিন্তু যেই জিনিষটা এখনো তারা জানতে পারছেন না যে কেন এটা তাপমাত্রা সুর্য পৃষ্ঠ থেকে অনেক অনেক বেশি। মুলত সুর্যের পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা হচ্ছে ৫৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিন্তু সেই পৃষ্ঠতল থেকে অনেক অনেক দুরে অবস্থিত ছিটকে পরা কিছু গ্যাসের তাপমাত্রা কিভাবে ত্রিশ লক্ষ থেকে কোটি লক্ষ ডিগ্রিসেলসিয়াস তাপমাত্রা হয়ে যায়। আমরা সাধারনত যা বুঝি সেই সিস্টেমে তো তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কথা কারন বস্তু তার হোস্ট থেকে দুরে সরে গেলে তাপমাত্র করে যাবে। কিন্তু এখানে কেন পুরোপুরি উল্টোটা হচ্ছে সেটাই এখনো খুজে পাচ্ছেন বিজ্ঞানিরা। অনেকেই অনেক ধরনের থিউরি দিয়েছেন কিন্তু কেউই এখন পর্যন্ত শিউর করে প্রমান করতে পারেননি এই ঘটনাটা কেন ঘটে।
২৪) Animal migration
প্রানি জগতের একটা অসাধারন আর আশ্বর্যজনক জিনিষ হচ্ছে এই মাইগ্রেশন। দেখা যায় আমাদের দেশে শীতকালে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে কিছু পাখি আসে। আমরা তাদেরকে অতিথি পাখি বলি কিন্তু কোনদিনকি একবারও জানতে চেয়েছি কেন তারা এরকম মাইগ্রেশন করে থাকে। আসলে বিজ্ঞানিরা এখনও খুজছেন কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটে। সাধারনত পানিতে থাকা তিমি থেকে শুরু করে আফ্রিকার যেব্রা হয়ে, হাতি , পাখি পর্যন্ত বছরের একটা নির্দিস্ট সময়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে একটা নির্দিস্ট স্থানের মধ্যে যাতায়াত করে। মজার বিষয় হচ্ছে এটা তারা দল বেধে করে থাকে এবং তাদের সময়ের কোন হেরফের হয় না এতে। অথচ এর জন্য তাদের কোন লিডার থাকে না কোন পথপ্রদর্শক বা গাইডও থাকেন না এমনকি কেউ জানেও না কোথায় যাচ্ছে। আশ্বর্যজনক এই ঘটনাটার রহস্য মুলৎপাটনের জন্য এখন বিজ্ঞানিরা প্রচুর গবেষনা করছেন। বিজ্ঞানিরা প্রানিদের মস্তিস্কে একধরনের ডিভাইস বসাচ্ছেন যাতে তারা বুঝতে পারেন কিভাবে এই অবুঝ প্রানিগুলো পথ না হারিয়েই সঠিক দিকে দিনে পর দিন চলতে পারে এবং নির্দিস্ট এলাকায় গিয়ে পৌছে যায়।
২৩) Taos hum
এটি একটি রহস্য জনক ঘটনা যা ঘটে থাকে পৃথিবীর অনেক স্থানেই। সাধারনত কোন একটা এলাকাতে এমন অদ্ভুৎ শব্দ হয় যে রাতে বা অন্ধকারে ভয় পাইয়ে দেয়। মানে হয় কেউ কাদছে বা একই সুরে বাশি বাজাচ্ছে। এটাকেই hum বলা হয় সাধারনত। এই ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে রহস্যজনক হচ্ছে মেক্সিকোর Taos নামক এলাকার বাসিন্দাদের কানে শোনা অদ্ভুৎ এই শব্দটি। অনেক বিজ্ঞানি যারা ওখানে গবেষনার জন্য গিয়েছেন তারাও এই শব্দটি শুনেছেন। তারা শব্দের উৎস বের করার জন্য বিভিন্ন স্থানে ক্যামেরা, সাউন্ডরেকর্ডার সহ অনেক ধরনের গবেষনা চালিয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই খুজেই পাননি কোথা থেকে এই শব্দ উৎপন্ন হয়। অদ্ভুৎ এই শব্দটি রাতের বেলা যে কারো মনের মধ্যে ভায়ের চাদর বিছিয়ে দেয়ার জন্য যথেস্ট। তবে মজার বিষয় হচ্ছে সবাই এই শব্দটি শুনতে পান না।
২২) Jellyfish disappearance from the Jellyfish Lake
এটি একটি লেক যেখানে জেলিফিস বাস করে। অস্ট্রেলিয়ার পাশেই দ্বিপ রাস্ট্র পালাও এর দ্বিপ Eil Malk এর মধ্যে এই লেকটি অবস্থিত। মজার বিষয় হচ্ছে এই লেকের পানিতে শুধু জেলিফিসই পাওয়া যায়। তাও স্বর্নালি রংয়ের জেলিফিস। সরাবছর এখানে গেলেই দেখা যাবে জেলিফিসরা দল বেধে ঘুরে বেরাচ্ছে স্বচ্ছ পানির ভিতরে। মুলত এই লেকটির সাথে সমুদ্রের কানেকশন আছে পানির নিচদিয়ে কিছু সরু টানেল এবং গুহার দ্বারা। এগুলো মুলত হাজার বছর ধরে সৃস্টি হয়েছে। মজার বিষয় হচ্ছে জেলিফিসগুলো মুলত প্রায় প্রতিদিন সমুদ্র থেকে এই টানেল এবং গুহা হয়ে এই লেকে চলে আসে আবার চলেও যায়। কিন্তু হঠাৎ করে ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত এই দুবছরে কোনদিনও একটা বারের জন্য একটা সিঙ্গেল জেলিফিস এই লেকে আসেনি। বিষয়টা সবার নজরে আসার কারন হচ্ছে প্রচুর পর্যটক এই দ্বিপে নিয়মিত যেতেন জেলিফিস দেখার জন্য। কিন্তু এই সময়টাতে কোন জেলিফিস আর আসেনি। কর্তৃপক্ষ এবং সরকার যখন এদের আশা একেবারে ছেরেই দিয়েছেন তখন হঠাৎ করে এরা আবার আসতে শুরু করে লেকটিতে। কিন্তু এই ঘটনাটা কেন ঘটেছে এবং এর কোন ব্যাক্ষা কোন জীববিজ্ঞানি আজ পর্যন্ত দিতে পারেন নি। তারাতো এমনকি কেন জেলিফিসগুলো প্রতিদিন এই লেকে আসে সেটারই কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
২১) Ice circles
এগুলো একই সাথে আইস ডিস্ক বা আইস প্যান নামেও পরিচিত। সাধারন খুব স্লো বা মন্থর গতির পানিতে এই ধরনের গোলাকার বরফের চাকতি দেখা যায়। এগুলা এতটাই গোল হয় যে অবাক হয়ে যেতে হয়। অনেকেই এগুলো নিয়ে বিভিন্নধরনের মতামত দিয়ে থাকেন। যেমন কেউ কেউ বলেন এগুলো সৃস্টি হয়েছে মন্থরগতির পানি ঘুর্ননের ফলে। কিন্তু বিজ্ঞানিরা বিষয়টা মানতে নারাজ কারন পানি ঘুর্ননের ফেলে এটা তৈরি হবার সময়ই এগুলো ফেটে চৌচির হয়ে যাবার কথা। কিন্তু এখনে এগুলো একোবরে চমৎকার এক শেইপে গোলাকার ডিস্ক আকারে পানিতে ভাসছে।
মূল লিখা ঃপ্রকৌশলী বশর সিদ্দিকী
আমরা জানি সুর্য হচ্ছে অত্যান্ত উচ্চ তাপমাত্রার একটা গ্যাসের বল। করনা হচ্ছে এই গ্যাসের বলের চারপাশে থাকা এক ধরনের রিংএর মতন ছিটকে যাওয়া পদার্থ। বিজ্ঞানিরা এর নাম দিয়েছেন করনা। এটি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা গেছে কিন্তু যেই জিনিষটা এখনো তারা জানতে পারছেন না যে কেন এটা তাপমাত্রা সুর্য পৃষ্ঠ থেকে অনেক অনেক বেশি। মুলত সুর্যের পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা হচ্ছে ৫৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিন্তু সেই পৃষ্ঠতল থেকে অনেক অনেক দুরে অবস্থিত ছিটকে পরা কিছু গ্যাসের তাপমাত্রা কিভাবে ত্রিশ লক্ষ থেকে কোটি লক্ষ ডিগ্রিসেলসিয়াস তাপমাত্রা হয়ে যায়। আমরা সাধারনত যা বুঝি সেই সিস্টেমে তো তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কথা কারন বস্তু তার হোস্ট থেকে দুরে সরে গেলে তাপমাত্র করে যাবে। কিন্তু এখানে কেন পুরোপুরি উল্টোটা হচ্ছে সেটাই এখনো খুজে পাচ্ছেন বিজ্ঞানিরা। অনেকেই অনেক ধরনের থিউরি দিয়েছেন কিন্তু কেউই এখন পর্যন্ত শিউর করে প্রমান করতে পারেননি এই ঘটনাটা কেন ঘটে।
২৪) Animal migration
প্রানি জগতের একটা অসাধারন আর আশ্বর্যজনক জিনিষ হচ্ছে এই মাইগ্রেশন। দেখা যায় আমাদের দেশে শীতকালে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে কিছু পাখি আসে। আমরা তাদেরকে অতিথি পাখি বলি কিন্তু কোনদিনকি একবারও জানতে চেয়েছি কেন তারা এরকম মাইগ্রেশন করে থাকে। আসলে বিজ্ঞানিরা এখনও খুজছেন কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটে। সাধারনত পানিতে থাকা তিমি থেকে শুরু করে আফ্রিকার যেব্রা হয়ে, হাতি , পাখি পর্যন্ত বছরের একটা নির্দিস্ট সময়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে একটা নির্দিস্ট স্থানের মধ্যে যাতায়াত করে। মজার বিষয় হচ্ছে এটা তারা দল বেধে করে থাকে এবং তাদের সময়ের কোন হেরফের হয় না এতে। অথচ এর জন্য তাদের কোন লিডার থাকে না কোন পথপ্রদর্শক বা গাইডও থাকেন না এমনকি কেউ জানেও না কোথায় যাচ্ছে। আশ্বর্যজনক এই ঘটনাটার রহস্য মুলৎপাটনের জন্য এখন বিজ্ঞানিরা প্রচুর গবেষনা করছেন। বিজ্ঞানিরা প্রানিদের মস্তিস্কে একধরনের ডিভাইস বসাচ্ছেন যাতে তারা বুঝতে পারেন কিভাবে এই অবুঝ প্রানিগুলো পথ না হারিয়েই সঠিক দিকে দিনে পর দিন চলতে পারে এবং নির্দিস্ট এলাকায় গিয়ে পৌছে যায়।
২৩) Taos hum
এটি একটি রহস্য জনক ঘটনা যা ঘটে থাকে পৃথিবীর অনেক স্থানেই। সাধারনত কোন একটা এলাকাতে এমন অদ্ভুৎ শব্দ হয় যে রাতে বা অন্ধকারে ভয় পাইয়ে দেয়। মানে হয় কেউ কাদছে বা একই সুরে বাশি বাজাচ্ছে। এটাকেই hum বলা হয় সাধারনত। এই ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে রহস্যজনক হচ্ছে মেক্সিকোর Taos নামক এলাকার বাসিন্দাদের কানে শোনা অদ্ভুৎ এই শব্দটি। অনেক বিজ্ঞানি যারা ওখানে গবেষনার জন্য গিয়েছেন তারাও এই শব্দটি শুনেছেন। তারা শব্দের উৎস বের করার জন্য বিভিন্ন স্থানে ক্যামেরা, সাউন্ডরেকর্ডার সহ অনেক ধরনের গবেষনা চালিয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই খুজেই পাননি কোথা থেকে এই শব্দ উৎপন্ন হয়। অদ্ভুৎ এই শব্দটি রাতের বেলা যে কারো মনের মধ্যে ভায়ের চাদর বিছিয়ে দেয়ার জন্য যথেস্ট। তবে মজার বিষয় হচ্ছে সবাই এই শব্দটি শুনতে পান না।
২২) Jellyfish disappearance from the Jellyfish Lake
এটি একটি লেক যেখানে জেলিফিস বাস করে। অস্ট্রেলিয়ার পাশেই দ্বিপ রাস্ট্র পালাও এর দ্বিপ Eil Malk এর মধ্যে এই লেকটি অবস্থিত। মজার বিষয় হচ্ছে এই লেকের পানিতে শুধু জেলিফিসই পাওয়া যায়। তাও স্বর্নালি রংয়ের জেলিফিস। সরাবছর এখানে গেলেই দেখা যাবে জেলিফিসরা দল বেধে ঘুরে বেরাচ্ছে স্বচ্ছ পানির ভিতরে। মুলত এই লেকটির সাথে সমুদ্রের কানেকশন আছে পানির নিচদিয়ে কিছু সরু টানেল এবং গুহার দ্বারা। এগুলো মুলত হাজার বছর ধরে সৃস্টি হয়েছে। মজার বিষয় হচ্ছে জেলিফিসগুলো মুলত প্রায় প্রতিদিন সমুদ্র থেকে এই টানেল এবং গুহা হয়ে এই লেকে চলে আসে আবার চলেও যায়। কিন্তু হঠাৎ করে ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত এই দুবছরে কোনদিনও একটা বারের জন্য একটা সিঙ্গেল জেলিফিস এই লেকে আসেনি। বিষয়টা সবার নজরে আসার কারন হচ্ছে প্রচুর পর্যটক এই দ্বিপে নিয়মিত যেতেন জেলিফিস দেখার জন্য। কিন্তু এই সময়টাতে কোন জেলিফিস আর আসেনি। কর্তৃপক্ষ এবং সরকার যখন এদের আশা একেবারে ছেরেই দিয়েছেন তখন হঠাৎ করে এরা আবার আসতে শুরু করে লেকটিতে। কিন্তু এই ঘটনাটা কেন ঘটেছে এবং এর কোন ব্যাক্ষা কোন জীববিজ্ঞানি আজ পর্যন্ত দিতে পারেন নি। তারাতো এমনকি কেন জেলিফিসগুলো প্রতিদিন এই লেকে আসে সেটারই কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
২১) Ice circles
এগুলো একই সাথে আইস ডিস্ক বা আইস প্যান নামেও পরিচিত। সাধারন খুব স্লো বা মন্থর গতির পানিতে এই ধরনের গোলাকার বরফের চাকতি দেখা যায়। এগুলা এতটাই গোল হয় যে অবাক হয়ে যেতে হয়। অনেকেই এগুলো নিয়ে বিভিন্নধরনের মতামত দিয়ে থাকেন। যেমন কেউ কেউ বলেন এগুলো সৃস্টি হয়েছে মন্থরগতির পানি ঘুর্ননের ফলে। কিন্তু বিজ্ঞানিরা বিষয়টা মানতে নারাজ কারন পানি ঘুর্ননের ফেলে এটা তৈরি হবার সময়ই এগুলো ফেটে চৌচির হয়ে যাবার কথা। কিন্তু এখনে এগুলো একোবরে চমৎকার এক শেইপে গোলাকার ডিস্ক আকারে পানিতে ভাসছে।
মূল লিখা ঃপ্রকৌশলী বশর সিদ্দিকী
0 comments:
Post a Comment